আপনার সাফল্যের জন্য সেথ গোডিনের ৪ টি আইডিয়া
সেথ গোডিনের অসংখ্য আইডিয়া আছে। লক্ষাধিক মানুষ তার বই পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে আনলিশিং দ্যা আইডিয়াভাইরাস,লিনচপিন,পারমিশন মার্কেটিং এবং উই আর অল উইআরড – হলো তার ১৮ টি আন্তর্জাতিক বেস্ট সেলারের মাত্র কযেকটি। সেথ গোডিন হলেন একজন মার্কেটিং গুরু এবং আইডিয়া সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার এক্সপার্ট আর লেখক হিসেবে তার এই জনপ্রিয়তা সেটারই প্রমান। তিনি হলেন দারুন জনপ্রিয় ব্লগ সেথস ব্লগের পিছনের মানুষ, যা কিনা গুগলে সেথ লিখে সার্চ দিলে এক নম্বরে আসে।
সুতরাং তিনি কিভাবে তা করেন? তিনি কিভাবে একজন কিংবদন্তিতে পরিনত হলেন? ওনাকে নিজের সম্পর্কে বলতে বলা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ কারণ ওনার মতে আইডিয়া ছাড়া ওনার ব্যাপারে কথা বলা খুব কাজের কিছু না। কিন্তু গল্প করতে করতে এবং কফির চুমুকের ফাঁকে উনি ওনার আজকের এই অবস্থানে পৌছানোর যাত্রা নিয়ে অনেক কিছুই বলেছেন।
সুতরাং আপনার যদি এমন কোন আইডিয়া থাকে যা আপনি পৃথিবীর সাথে শেয়ার করতে চান, তাহলে এই মাস্টার মার্কেটারের কাছ থেকে কিছু টিপস নিয়ে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপনার জন্য সেথ গোডিনের টিপস হলো
১) আপনি তরিঘড়ি সাফল্য পাবেন না।
সেথ গোডিন বলেন, সাফল্য মানে তরিঘড়ি টাকা বানানো নয়। কিন্তু মানুষ এই টাকা বানানোর প্রতিযোগিতায় যোগদান করে কারণ এটা নিজের কঠিন পরিশ্রমে বানানো কিছুর থেকে অনেক সোজা।
সেথ গোডিন বলেন,সৃজনশীলতার এবং সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্য হলো আপনি যেন আপনার অন্তদৃষ্টি দিয়ে অন্যদেরকে সাহায্য করতে পারেন। এবং আপনার সেই কাজ অন্যদের কাছে এতই গুরুত্বপূর্ণ হয় যে তারা আপনাকে তার জন্য টাকা দিতে চাবে।
যেসব মানুষ খুব তাড়াতাড়ি সফলতা চায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অর্জন করতে পারে না। কিন্তু যেসব মানুষ ইতিবাচকভাবে সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে চায় এবং অন্যরকম কিছু করতে চায়, তারাই পারে।
২) সৃজনশীলতা লক্ষ্য নয়।
যিনি পরিচিত তার সৃজনশীল আইডিয়ার জন্য, তার অবশ্যই তার সকল সময় এবং কর্মশক্তি নতুন কিছু বা সৃজনশীল কাজে ব্যয় করা উচিত, ঠিক কিনা? ভুল।
সেথ গোডিন বলেন,”আমি সৃজনশীলতাকে লক্ষ্য মনে করি না। আমি মনে করি মানুষের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক থাকা এবং পারস্পরিক বিশ্বাস থাকাটাই হলো আসল লক্ষ্য। যদি আপনার অনেক মানুষের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক থাকে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস থাকে, তাহলে আপনার কখনো ভালোভাবে বেচে থাকতে সমস্যা হবে না, এবং আপনি অন্যরকম কিছু করেও দেখাতে পারবেন।
আপনি কি মানুষের সাথে সহজে মিশে যেতে পারেন এবং আইডিয়া তাদের কাছে শেয়ার করতে পারেন এবং অন্যরকম কিছু করে দেখাতে পারেন? এটা করতে পারাটাই গুরুত্বপূর্ণ – আপনার লক্ষ্য তাই হওয়া উচিত।
৩) চ্যালেঞ্জিং কাজ করুন।
আপনি কি জানেন সেথ গোডিনের বই ৯০০ বারের বেশি প্রতাখ্যান করা হয়েছিল? হাল ছেড়ে না দিয়ে, সেথ গোডিন লড়াই করতে থাকেন একের পর এক প্রত্যাখানের সাথে তারই আবিষ্কৃত তত্ত্ব “দ্যা ডিপ” নিয়ে, যা হলো আপনি করতে ভালবাসেন এমন কোন প্রজেক্টের সব চেয়ে খারাপ সময় যখন তা নিয়ে এগিয়ে যাবার মানসিক শক্তি সবচেয়ে কমজোর থাকে তা পার করার কৌশল।
হয় আপনি আগের থেকেই পরিকল্পনা করে রাখুন প্রজেক্টের সব থেকে খারাপ অবস্থায় পড়লে করণীয় পদক্ষেপ এবং তা থেকে বের হবার উপায়, অথবা প্রজেক্ট শুরুই করেন না।
তার অনেক আইডিয়ার ডিপ পয়েন্ট কি হতে পারে তা বিশ্লেষণ করে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে সেগুলো মোকাবিলা করার যথেষ্ট পরিমান রসদ তার নেই, তখন সেথ গোডিন ফোকাস করেছেন লেখালিখিতে। তিনি বলেন যে, কেউ যখন এই কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকবে তখন অবশ্যই পুরস্কার তার জন্য অপেক্ষা করছে।
৪) নিশ্চয়তার খোজ করেন না।
গোডিনের পরামর্শ তাদের প্রতি যারা তাদের ক্যারিয়ারের পরবর্তী পদক্ষেপ বের করার চেষ্টা করছেন – “নিশ্চয়তার খোজ করেন না। নিশ্চয়তা অকার্যকর। আমি আপনাকে অন্তহীন নিশ্চয়তা দিতে পারব না যা আপনি মনে করেন আপনার দরকার।”
আপনি যখন নতুন বড় কিছু করবেন তখন অবশ্যই আপনি অনিশ্চযতা,মানসিক এবং আবেগময় ক্লান্তি অনুভব করবেন। কিন্তু এই অপ্রদর্শিত পথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ই আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কারে রুপান্তরিত হতে পারে।
লিখেছেন কেলসেয় হামফ্রেস।
www.success.com সাইটে পূর্বপ্রকাশিত।
মন্তব্য করুন