সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়ার জন্য ৪টি এক্সপার্ট টিপস

Share

আমরা রান্ড ফিশকিন, মজ একটি এসইও প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, যার টুইটার ফলোআর ৩৮১,০০০+, কাছে গিয়েছিলাম সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর টিপস জানতে।       

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এবং কেন?

আমার মতে মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি অপরকে চেনার জন্য ধাবিত করে, এবং যেকোনো মানুষ অথবা ব্র্যান্ডের কাজের সাথে কথার মিল খুঁজে পেলে তার সাথে পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

আপনার মতে একজন মানুষ অথবা যেকোনো ব্র্যান্ড কোন ভুলের কারণে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়?

আমি মনে করি প্রাকৃতিকভাবেই আমরা সবাই বিশ্বাসযোগ্যতাকে কাছে টেনে নিতে চাই। অনেক ক্ষেত্রেই অনেককে আমরা দেখি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি কৃত্রিম চরিত্র তুলে ধরতে। যেকোনো মানুষ কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত তার একাউন্টে দিয়ে থাকেনা, কেবল মাত্র সারা দিনের একমাত্র সুন্দর সময়টি সকলের সাথে শেয়ার করে থাকে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ধারণা দিয়ে থাকে আমাদের পরিবারের সদস্যদের এবং বন্ধুদেরকে নিয়ে, যার কারণে মনে হতে পারে এই হাতে গড়া এবং পঙ্কিল চরিত্রায়ন বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি আনে। আমার মতে আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা রেখেও কেবল সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে পারেন, কিন্তু একটা সন্দেহের জায়গা কিন্তু থেকেই যায় শেষ পর্যন্ত।

আরেকটি ব্যাপার হতে পারে সবসময় নিজেকে ভালো দেখানোর একটি মানসিক চাপ কাজ করে সকলের মধ্যে, এটি আসলে হতাশায় ভরা একটি সামাজিক ব্যবস্থা বলে আমি মনে করি। সবার মনে হয় যদি আমার জীবনটা সবার কাছে সুন্দর মনে না হয়, তাহলে আমার প্রিয়জন অথবা বন্ধুবান্ধব আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাবে, তাই শেষ পর্যন্ত আমরা রূপার চাদরে মোড়ানো একটি জীবন সবাইকে দেখাতে যাই।

যারা সময়ের সাথে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে, তারা কীভাবে সফল হয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

আমার বিশ্বাস সত্যি কথাটাই যদি কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখায় তাহলে পারস্পারিক সহানুভূতি কাজ করে সকলের মধ্যে এবং নিজের সাথে অন্যের সমস্যার মিল খুঁজে পায়। এর থেকে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠার সুযোগ পায়। কিন্তু তারপরও আপনি প্রতিটা মুহূর্ত যদি শেয়ার করা শুরু করেন তবে আপনার কথা মূল্য হারানোর ভয়ও থাকে, আপনাকে এই ব্যাপারে অত্যন্ত বুদ্ধির সাথে দৃষ্টি গ্রাহ্য করে এমন আবেগপ্রবণ ভাষায় আপনার মনের কথা প্রকাশ করতে হবে।

এমন কি কোন সামাজিক মাধ্যম আছে যেটা বিশ্বাসযোগ্যতা পেতে সাহায্য করে?

অল্প সময়ের মধ্যে এটা অর্জন করা আমার মতে খুবই কষ্টকর এবং এই কাজে ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম একটা খুব একটা সাহায্য করে না যতটা করতে পারে বিভিন্ন ব্লগ সাইট। ব্লগ সাইটগুলো কেবল বিভিন্ন ধরণের মত প্রকাশেই সাহায্য করেনা, পাঠকরা লম্বা সময় ধরে পোস্টগুলো পড়ার সুযোগও পায়। ব্লগগুলোকে বেশিরভাগ সময়ই লেখকরা নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারে, যা নিজস্বতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

লিখেছেন যেমি ফ্রাইডলান্ডের।

www.success.com সাইটে পূর্বপ্রকাশিত।    

আপনি উদ্যমী!
আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান?  

তাড়াতাড়ি সাবস্ক্রাইব করুন।

আমাদের সেরা কনটেন্ট আপনার ইমেইলে পৌছে যাবে প্রতি সপ্তাহে।  

Invalid email address
আপনি যেকোনো সময় আনসাবস্ক্রাইব করতে পারবেন।  

মন্তব্য করুন