ব্র্যান্ড গড়ার টিপস সংকলন

Share

আমাদের দেশে কোম্পানীগুলির মধ্যে নিজেদেরকে ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করার ইচ্ছা এবং প্রবণতা অপেক্ষাকৃত কম। বাংলাদেশে টেলকো ইন্ডাস্ট্রির কোম্পানিগুলো যেমন – গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক তাদের সার্ভিসের ব্র্যান্ড বিল্ডিংয়ের জন্য ব্যাপক কাজ করেছে। এছাড়া কিছু কোম্পানি যেমন – রহিমআফরোজ, স্কোয়ার, প্রাণ, আড়ং ইত্যাদি বাংলাদেশে নিজেদের কোম্পানি, প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে কাজ করছে। ব্র্যান্ড বিল্ডিং একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। দিনের পর দিন একটি কোম্পানির এবং এটির প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যেতে হয়। আপনার কোম্পানি এবং প্রোডাক্টকে টার্গেট অডিয়েন্স যখন ব্র্যান্ড হিসেবে দেখা শুরু করবে তখন তা আপনাকে নিম্নোক্ত সুবিধা দিবে

  • কাস্টমারের আপনার প্রতি বিশ্বাস তৈরি করবে।
  • মার্কেটে থাকা একই শ্রেণীর প্রোডাক্টের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করবে।
  • কাস্টমাররা আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পেয়ে নিজেদেরকে শ্রেয় মনে করবে ফলে পরবর্তীতে বেচা সহজ হবে।
  • কাস্টমারের সঙ্গে একটা ইমোশনাল কানেকশান তৈরি করে যার কারণে ওই কাস্টমার তার পরিচিত গ্রুপের কাছে প্রোডাক্টটি সুপারিশ করে।
  • প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যখন ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে তখন আপনি প্রিমিয়াম চার্জ করতে পারবেন।

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ১ঃ সম্ভাব্য ক্রেতা

আপনার কোম্পানি, পণ্য বা সেবাকে ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে হলে, প্রথমেই আপনাকে ভেবে বের করতে হবে সম্ভাব্য ক্রেতা কারা হবে। আমজনতার ব্র্যান্ড না হয়ে বরং মার্কেটে দরকার বা প্রয়োজন অনুযায়ী একটি যথার্থ স্থান বের করে, নির্দিষ্টভাবে ওই মার্কেটের সকল ক্রেতাদের লক্ষ্য করে ব্র্যান্ডটাকে গড়তে হবে।

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ২ঃ উদ্দেশ্য

Image Source: theurbanlist.com

আপনি যেই কোম্পানি, পণ্য বা সেবাকে ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চাচ্ছেন তার কৌশল ঠিক করার আগে, আপনাকে প্রথমেই ভেবে বের করতে হবে যে ব্র্যান্ডটি কিসের জন্য দাঁড়াবে – এর মানে হল ব্যবসাটি টাকা উপার্জন করা ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্য শুরু করা হয়েছে। একটি ব্র্যান্ডের উদ্দেশ্য কেন্দ্রীভূত হয় নিজেদের থেকে বরং বাইরের সেবার দিকে, এটা অনেকটা এরকম যে কোম্পানির কর্মকর্তারা ক্রেতার মতো করে চিন্তা করবে এবং তাদেরকে সেবা করার জন্য অনুপ্রাণিত হবে। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক ডিজনিল্যান্ড ব্র্যান্ডকে। ডিজনিল্যান্ডের উদ্দেশ্য হলো সবার জন্য খুশির উপলক্ষ তৈরি করা – এই উদ্দেশ্য অনুযায়ী ডিজনিল্যান্ডের সকল লক্ষ্য এবং কর্ম পরিকল্পনা স্থাপন করা হয়। এখনকার দুনিয়ায় মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে হলে একটি ব্যবসা/ব্র্যান্ডের উদ্দেশ্যে স্থাপন করা এবং সেই অনুযায়ী কর্ম সম্পাদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ৩: ভিশন

Image Source: comparecards.com

একটি ব্র্যান্ড গড়ার পথে দূরদর্শী চিন্তা এবং মানসিকতা আবশ্যকীয়। ব্র্যান্ডের ভিশন নির্দেশ করে নিকট ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠান, ব্র্যান্ডটিকে নিয়ে কি অর্জন করতে চায়। এটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দৈনন্দিন কাজের বাইরে চিন্তা করার প্রভাবক হিসেবে কাজ করে, এবং সবাইকে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে প্রণোদিত করে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকান এক্সপ্রেস তাদের ক্রেডিট কার্ড সেবার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত, তাদের ভিশন হলো, তারা “বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত সেবা ব্র্যান্ড” হয়ে কাজ করতে চায়। সবার সেরা ক্রেডিট কার্ড সেবা হয়ে ওঠা নয়, আমেরিকান এক্সপ্রেসের ভিশনের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে সেবা ব্র্যান্ড হয়ে বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হওয়া।

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ৪ : মিশন

Image Source: clark.com

একটি ব্র্যান্ড মার্কেটে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মিশন থাকা, এবং তা অনুযায়ী কর্ম পরিকল্পনা করা, সেটির ধারাবাহিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মিশন বিবরণী প্রতিষ্ঠানের সকল অংশীদারদের যেমন – ব্যবস্থাপনা পরিষদ, কর্মকর্তাবৃন্দ, সরবরাহকারী, অংশীদার এবং ক্রেতাদের অনুপ্রাণিত করে এমন হতে হবে। মিশন বিবরণী এমন ভাবে লিখতে হবে, যেন তা সহজে বুঝার মতো স্পষ্ট হয়। এটির প্রধান কাজ হল, অংশীদারগনদের দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কম্পাস হিসেবে কাজ করা। মিশন বিবরণীর উদাহরণ: আমাজন: “বিশ্বের সবচেয়ে ক্রেতা-কেন্দ্রী প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠা যেখানে মানুষ অনলাইনে কেনার, যে কোন জিনিস খুঁজে পাবে এবং বের করতে পারবে।”

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ৫ : মূল্যবোধ

এপল পার্ক – কালিফোর্নিয়ায় এপলের হেডকোয়ার্টার; Image Source: cultofmac.com

একটি পণ্য বা সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের কাজ, সিদ্ধান্ত এবং কর্মকর্তাদের আচরণ কেমন হবে তা নির্দেশ করে প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবোধ। এটি হলো একগুচ্ছ নীতি এবং দর্শন , যা কিনা কর্মকর্তাদের বোঝায় যে প্রতিষ্ঠান তাদের কাছে কি ধরণের আচরণ আশা করে।

একটি ভালো মূল্যবোধ বিবরণী

– অংশীদারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বা সেবাকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

– একই মূল্যবোধ ধারণ করা মানুষদের কাজ করার জন্য আকর্ষণ করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আনুগত্য বজায় রেখে অনেকদিন থাকতে অনুপ্রাণিত করে।

– কর্পোরেট চিন্তাধারার ভিত্তি হয়ে কাজ করে।

– প্রতিষ্ঠানটির ভিতরে ফলদায়ক কার্যক্রম বাড়াতে অনুপ্রাণিত করে।

বিখ্যাত ব্র্যান্ড এপলের মূল্যবোধ হল

– প্রবেশযোগ্যতা

– শিক্ষা

– পরিবেশ

– অন্তর্ভুক্তি এবং বৈচিত্র্য

– গোপনীয়তা

– সরবরাহকারীদের দায়িত্ব

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ৬ : ব্র্যান্ড পজিশনিং

কোন একটি পণ্য বা সেবাকে ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে হলে সম্ভাব্য গ্রাহকদের চাহিদা বুঝা, এবং তাদের মনে জায়গা করে নেয়া বাঞ্চনীয়। একটি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড পজিশনিং বিবরণী সেই প্রয়োজনীয়তাটা পূরণ করে। একটি ব্র্যান্ড পজিশনিং বিবরণী ছোট ও সংক্ষিপ্তভাবে ব্যাখা করে, আপনার ব্র্যান্ড কি করে, লক্ষ্য কারা এবং আপনার ব্র্যান্ডটির সুবিধাসমূহ। বিবরণীটি একটি অভ্যন্তরীণ ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এবং ব্র্যান্ডটির সকল গ্রাহকদের প্রতি বার্তার সকল কন্টেন্ট ঠিক আছে কিনা এটি তা গাইড করে। আপনার ব্র্যান্ডটিকে মার্কেটে সঠিকভাবে পজিশন করার জন্য, প্রথমেই ব্র্যান্ডটির যে অনন্য বৈশিষ্ট্য আছে, সে অনুযায়ী টার্গেট গ্রাহক বের করতে হবে, এবং প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলো থেকে সেবার পার্থক্য নির্ণয় করা লাগবে। ব্র্যান্ড পজিশনিং কৌশল বা বিবরণী তৈরি করার আগে আপনাকে নিচের বিষয়গুলো সম্মন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে

– ব্যবসাটি যে শিল্পে পরিচালনা করে।

– টার্গেট গ্রাহকের মনে আপনার ব্র্যান্ডটির অবস্থান।

– আপনার সরাসরি প্রতিযোগী কারা এবং তারা মার্কেটে নিজেদেরকে কিভাবে পজিশন করেছে।

– পণ্য বা সেবা ব্র্যান্ডটির, কোন বৈশিষ্ট্য তুলনাহীন বা প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডের থেকে ভাল।

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ৭ : ব্র্যান্ড পজিশনিং বিবৃতি পরিবর্ধন প্রক্রিয়া

পজিশনিং স্টেটমেন্ট তৈরির চারটি অপরিহার্য উপাদান রয়েছে:

টার্গেট গ্রাহক: প্রত্যেকের কাছে একটি ব্র্যান্ড হওয়ার চেষ্টা করার পরিবর্তে, আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বাজারে ফোকাস করতে হবে, গ্রাহকরা যারা পণ্য বা সেবাটির জন্য টার্গেট ডেমোগ্রাফিক এবং যাদের সেটির আগ্রহ বা প্রয়োজন আছে।

বাজার সংজ্ঞা: বাজারে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীতে আপনার ব্র্যান্ডটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং গ্রাহকদের কাছে তা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?

ব্র্যান্ড প্রতিশ্রুতি: আপনার ব্র্যান্ড টার্গেট গ্রাহকদের কাছে (আবেগময় / যোক্তিক) সুবিধা কি প্রদান করছে যা আপনার প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলো দিতে পারছে না?

বিশ্বাসের কারণ / বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য : টার্গেট গ্রাহকদের কাছে আপনার ব্র্যান্ড যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তা কিভাবে পালন করছে।

Image Source: mylocalnews.us

উদাহরণস্বরূপ,জিপকার, পৃথিবীর নেতৃস্থানীয় কার-শেয়ারিং সেবা,২০০০ সালে বাজারে চালু হয় এবং তাদের ব্র্যান্ড পজিশনিং বিবৃতিটি নিচে দেওয়া হল শহরাঞ্চলে থাকা, শিক্ষিত, প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন গ্রাহক যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করে (টার্গেট ও অন্তদৃষ্টি), জিপকার হল একটি গাড়ি-শেয়ারিং সেবা (প্রতিযোগিতামূলক ফ্রেম) যা আপনাকে অর্থ সঞ্চয় করতে এবং আপনার কার্বন পদাঙ্ক কমাতে দেয় (বিশ্বাসের কারণ), আপনি অনুভব করবেন যে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য আপনার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন (টার্গেটের লক্ষ্য / ব্র্যান্ড প্রতিশ্রুতি] করতে পেরেছেন এই চৌকশ, দায়িত্বপূর্ণ পছন্দটি করে।

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ৮: ব্র্যান্ড এবং কর্পোরেট ব্র্যান্ড

একটি কোম্পানি যখন শক্তিশালী কর্পোরেট ব্র্যান্ড হয় তা এটির ব্যবসা, এবং কর্মকান্ড টার্গেট ভোক্তাদের বোঝাতে সক্ষম হয় এবং একই সাথে ব্যবসাটি কতটুকু লাভজনক হচ্ছে তা অনেকাংশে নির্ভর করে ব্র্যান্ডটি ভোক্তাদের উপর কতটুকু প্রভাব বিস্তার করছে। শক্তিশালী ব্র্যান্ড তৈরি করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং তা করতে ব্যবসা, ইউএসপি (অনন্য বিক্রয় প্রস্তাব), গ্রাহক/ভোক্তা, বাজার ইত্যাদি বোঝা আবশ্যক। ব্র্যান্ড হল “নাম, শব্দ, নকশা, প্রতীক, বা অন্য বৈশিষ্ট্য যা এক বিক্রেতার পণ্য বা সেবাকে অন্য বিক্রেতার থেকে পৃথক করে। একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড হিসেবে এর সেবাকে গড়তে হলে, টার্গেট শ্রোতার সাথে সকল যোগাযোগ ধারাবাহিক হতে হবে। একটি ব্র্যান্ডের সৃষ্টি হয় ভোক্তার মনে, যা কিনা একটি প্রতিষ্ঠানের সেবা বা পণ্য নিয়ে তার অনুভূতি এবং চিন্তার সংমিশ্রণ।

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ৯ : কর্পোরেট ব্র্যান্ড বিল্ডিং কি?

কর্পোরেট ব্র্যান্ড বিল্ডিং হল একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি টার্গেট গ্রাহকদের সচেতনতা, আনুগত্য, অগ্রাধিকার বৃদ্ধি এবং সরাসরি মূল্য দেয়ার সৃজনশীল কর্মকান্ড, যা ঐ প্রতিষ্ঠান দ্বারা বাজারজাতকৃত পণ্যের বা সেবা ব্র্যান্ড থেকে আলাদা। এটার নির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য হল, প্রতিষ্ঠানের ভিশন, মিশন এবং ব্যবসা কৌশলের সাথে বিসৃত পরিসরে আর্থিক এবং কৌশলগত সুবিধা একত্রিত করা। একটি কর্পোরেট ব্রান্ডের প্রধান শ্রোতা হলো ব্যবসায়িক গ্রাহক, চ্যানেল অংশীদার, আর্থিক বিশ্লেষক, কর্মচারী এবং ভোক্তা। একটি ভালো কর্পোরেট ব্র্যান্ড নিচের বিষয়গুলো সম্পাদন করে

– প্রতিষ্ঠানের বার্তাকে পরিষ্কার এবং সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করে।

– টার্গেট ভোক্তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং তাদেরকে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা নিতে অনুপ্রাণিত করে।

– প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ১০: ব্র্যান্ড পরিচয় তৈরি

ব্র্যান্ড পরিচয় হলো, টার্গেট শ্রোতা ব্র্যান্ডটিকে কিভাবে দেখছে বা অনুভব করছে, এবং প্রতিযোগীদের থেকে ব্র্যান্ডটিকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার জন্য এটি অপরিহার্য। ব্র্যান্ড পরিচয় প্রতিটি বিক্রয় ফানেলে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে। এটি হলো ব্র্যান্ডটি তাদের কাছে দেখতে কেমন, তারা যখন ওটা দেখছে বা ব্যবহার করছে তখন কেমন অনুভব করছে, তাদেরকে ব্র্যান্ডটি কি বলছে বা কতটুকু সংযোগ তৈরি করছে – এই উপাদানগুলিই তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যে আদৌ তারা ব্র্যান্ডটির সাথে যুক্ত হবে কি না। নিচের উপাদানগুলি ব্র্যান্ড পরিচয়ের অন্তর্ভুক্ত

– লোগো

– রঙের প্যালেট

– টাইপওগ্রাফি

– আইকোনোগ্রাফি

– নকশা পদ্ধতি

– ফটোগ্রাফি / গ্রাফিক্স

ব্র্যান্ড গড়ার টিপস ১১ : প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ব্র্যান্ড দূত বানান

সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানদের পণ্য হল তাদের সেবা যা কিনা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ছোয়া, দেখা বা পরীক্ষা করা যায় না । আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাই ব্র্যান্ডটিকে ধারণ করছে টার্গেট গ্রাহকদের সাথে প্রতিটি যোগাযোগে। আপনি আপনার সেবা ব্র্যান্ডটিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, কিন্তু ভাবুন তো কর্মচারীরা গ্রাহকদের সাথে প্রতিটি যোগাযোগে যদি ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা এবং ব্র্যান্ড ব্যক্তিত্ব ধারণ না করে তাহলে ব্র্যান্ড বিল্ডিংয়ের চেষ্টা কতটুকু সফল হবে। ব্র্যান্ড বার্তা কর্মচারীদের জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে তারা যেন ব্র্যান্ড দূত হতে পারে, এবং প্রতিষ্ঠানের ভিতরে সহযোগিতামূলক সংস্কৃতি তৈরিতে অবদান রাখতে পারে। এটা এমন একটি পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করে যেখানে প্রতিটি বিক্রয়ের উদ্যোগ, খদ্দেরের সাথে যোগাযোগ, সংক্ষিপ্ত কথপোকথন সঠিক ব্র্যান্ড বার্তা বহন করে। একটি সেবা প্রদানকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তাদের টার্গেট গ্রাহকদের সাথে ধারাবাহিক ভাষায় কথা বলা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ গ্রাহকের অভিজ্ঞতার উপর ব্র্যান্ডটির কার্যকারিতা অনেকখানি নির্ভর করে।

আপনি উদ্যমী!
আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান?  

তাড়াতাড়ি সাবস্ক্রাইব করুন।

আমাদের সেরা কনটেন্ট আপনার ইমেইলে পৌছে যাবে প্রতি সপ্তাহে।  

Invalid email address
আপনি যেকোনো সময় আনসাবস্ক্রাইব করতে পারবেন।  

মন্তব্য করুন