পৃথিবীর যে চমৎকার ও অদ্ভুত তথ্যগুলো আপনার জানা উচিৎ (পর্ব-১)

Share

এই পৃথিবী একটা অদ্ভুত জায়গা। পরিকল্পনা করে কিছু এখানে হয় না। আর এমন সব ব্যাপার ঘটে যা কখনো ঘটার কথা ছিলো না। একটু খেয়াল করলেই পেন্সিল থেকে শুরু করে ইতিহাস বা বিজ্ঞান, সবক্ষেত্রেই বিচিত্র সব তথ্য নজরে আসে। এখানে এমন ৬৭টি চমকপ্রদ তথ্য একসাথে করা হলো, যা আপনাকে এই চমৎকার পৃথিবী ও মানুষ সম্পর্কে নতুনভাবে জানাবে।

# আকর্ষণীয় তথ্য

১) আপনি যদি কোনোভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে সব স্বর্ণ একসাথে করে পুরো স্থলভাগ মুড়ে দিতে পারেন, তাহলে আপনার হাঁটু পর্যন্ত ডেবে যাবে।
২) ম্যাকডোনাল্ডস তার নিয়মিত ক্রেতাদের কি বলে জানেন? ‘ভারী খদ্দের’।
৩) একজন মানুষ তার জীবনের প্রায় ছয় মাস সময় শুধু লাল বাতি সবুজ হওয়ার অপেক্ষা করে।
৪) এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে বড় তুষার খণ্ডটির আকার ছিল ১৫ ইঞ্চি। ১৮৮৭ সালে এটা পাওয়া গিয়েছিলো কেঘ, এমটিতে।
৫) টেলিভিশন দেখার চাইতে যখন ঘুমান, আপনার ক্যালরি বেশি পুড়ে।
৬) সারা পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে, একজন মানুষের ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যার চেয়েও তা কম।
৭) দক্ষিণ সাগরের এক ধরনের ভোঁদড় জাতীয় প্রাণী আছে, যাদের ত্বক সামনের পায়ের সাথে পকেটের মতো ভাঁজ হয়ে একরকমের ডানা সৃষ্টি করে। এটা তারা খাবার ও পাথর বহনের কাজে ব্যবহার করে।
৮) ১৩৮৬ সালে ফ্রান্সে একটা শূকরকে প্রকাশ্যে ফাঁসী দেয়া হয়। অভিযোগ ছিলো- একটি শিশুকে হত্যা করা।
৯) প্রতি ৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের মাঝে ১ জন বিশ্বাস করে যে, এলিয়েনরা মানুষের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে; তাও আবার আমাদের মাঝেই।
১০) আপনি যদি কোটি মানুষের মাঝেও নিজেকে সতন্ত্র মনে করেন, তার পরও  পৃথিবীর বাকী মানুষদের মধ্যে প্রায় ৭,১৮৪ জন মানুষ আছে যারা পুরোপুরি আপনার মতো দেখতে।
১১) একখণ্ড মেঘের ওজন ৫০০ টনের বেশিও হতে পারে।

জেমস বুচানান আমেরিকার ১৫তম প্রেসিডেন্ট; Image Source: history.com

১২) আমেরিকার ১৫তম রাষ্ট্রপতি জেমস বুচানান নিজের টাকায় দাস কিনতেন, যাতে তিনি তাদের মুক্ত করে দিতে পারেন।
১৩) একটা দাবা খেলায় সম্ভাব্য যত রকমের চাল হতে পারে, তা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মোট অণুর সংখ্যার চেয়েও বেশি।
১৪) বেঁচে থাকতে একজন মানুষ গড়ে যে পরিমাণ হাঁটে, তা দিয়ে পুরো পৃথিবীকে তিনবার ঘুরে আসা সম্ভব।
১৫) নারীদের তুলনায় পুরুষদের উপর বজ্রপাত হওয়ার সম্ভবনা ৬ গুন বেশি।
১৬) রঙ দেওয়া না থাকলে কোকাকোলার রঙ হতো সবুজ।
১৭) আপনি একই সময়ে কখনোই স্বপ্ন দেখতে ও নাক ডাকতে পারবেন না।

# মজাদার তথ্য

১৮) পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো চুইংগামের টুকরাটির বয়স ৯০০০ বছরেরও বেশি।

কয়োটি ; Image Source: nhptv.org

১৯) কয়োটি নামের নেকড়ে জাতীয় প্রাণীটি এক ফুট তুষারের নিচে হতেও ইঁদুরের চলাচলের শব্দ শুনতে পায়।
২০) অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরি থেকেও বিদ্যুৎ চমকাতে পারে।
২১) নিউইয়র্ক শহর প্রতিবছর লন্ডন থেকে প্রায় এক ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে।
২২) ছেঁড়ার আগপর্যন্ত আমেরিকান ডলারের একই জায়গায় প্রায় ৪০০০ বার ভাঁজ করা যায়।
২৩) হাঁচির গতি কত জানেন? ঘন্টায় ১০০ মাইল।
২৪) আপনি এই লেখাটি পড়তে পড়তে পৃথিবী গত ৫ মিনিটে ৫০০০ মাইলেরও বেশি পথ ঘুরেছে।
২৫) এক মাইল পথ যেতে শ্লথের একমাস সময় লাগে।
২৬) পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ মানুষ বামহাতি।
২৭) একটা বিকল ঘড়িও প্রতিদিন দুইবার করে ঠিক সময় দেয়।
২৮) আমাজনের দেয়া তথ্যমতে, কিন্ডলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তিনটি বই হলো- বাইবেল, স্টিভ জবসের আত্নজীবনী এবং দ্য হাঙ্গার গেমস।
২৯) মৃত্যুর আগে ছেলেকে বলা বব মার্লের শেষ কথাটি ছিলো- ‘টাকা জীবন কিনতে পারে না।’
৩০) একটি ছুঁচো একরাতের মাঝেই ৩০০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ খুঁড়তে পারে।
৩১) জলহস্তীর হা করা মুখের মধ্যে একটি চার ফুট লম্বা শিশু সহজেই আড়াআড়ি এঁটে যাবে।
৩২) পেঁয়াজ কাটার সময় চুইংগাম চিবুলে আপনার চোখে আর পানি আসবে না।
৩৩) একটা স্লিঙ্কীকে (এক ধরণের স্প্রিং ধরণের খেলনা) যদি আপনি একেবারে সমান হওয়া পর্যন্ত টেনে লম্বা করেন, তবে এটা ৮৭ ফুট দীর্ঘ হবে।
৩৪) আমেরিকান গ্যাংস্টার অল ক্যাপোন’র বিজনেস কার্ডে লেখা ছিলো যে, সে হচ্ছে একজন ব্যবহৃত আসবাবপত্র ব্যবসায়ী।
৩৫) দেয়ালে মাথা ঠুকলে ঘন্টায় ১৫০ ক্যালরি পুড়ে।
৩৬) শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ মেসেজে সেসব কথাই বলে, যা তারা কখনো বাস্তবে বলতে পারতো না।
৩৭) কুমীর জিহ্বা বের করতে পারে না।
৩৮) শূকররা শারীরিকভাবেই আকাশের দিকে তাকাতে অক্ষম।
৩৯) লাইব্রেরি থেকে সবচেয়ে বেশি চুরি যাওয়া বইয়ের রেকর্ডটাও গিনেজ বুক অফ রেকর্ডসের দখলে।

# খাদ্য সংক্রান্ত তথ্য

৪০) ফল শুকালে এর ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ৩০%-৮০% পর্যন্ত কমে যায়।
৪১) ২০১০ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪৮% সোডা ফাউন্টেন ফেকাল ব্যাকটেরিয়া ও ১১% ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া ধারণ করে।
৪২) প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন আমেরিকানই পটাশিয়ামের স্বল্পতায় ভোগে।
৪৩) ব্লুবেরি গাছ থেকে সংগ্রহ করার আগপর্যন্ত পাকে না।
৪৪) প্রতিবছর প্রায় ১৫০ জন মানুষ নারিকেলের আঘাতে মারা যায়।
৪৫) ১৯৩০ সালেও টমেটো থেকে তৈরী করা কেচাপ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
৪৬) মধু কখনো নষ্ট হয় না।
৪৭) যেকোনো দিন খুঁজলেই দেখা যাবে প্রায় অর্ধেক আমেরিকান ডায়েটে আছে।
৪৮) একটি শক্ত সেদ্ধ ডিম ঘুরবে, কিন্তু নরম সেদ্ধ ডিম কখনো ঘুরবে না।
৪৯) অ্যাভাকাডো নামক নাশপাতি জাতীয় ফলটি পাখিদের জন্য বিষাক্ত।
৫০) চুইংগাম চিবুনো ঘন্টায় প্রায় ১১ ক্যালরি পর্যন্ত পোড়াতে পারে।
৫১) পাথুনি বা সেলেরি শাক নেগেটিভ ক্যালরির খাদ্য। এটা খেলে যতটা ক্যালরি পাওয়া যায়, তারচেয়ে বেশি ক্যালরি খরচ হয় খাওয়ার সময়। আপেলের ক্ষেত্রেও একই কথা খাঁটে।
৫২) অন্য যেকোনো খাবারের তুলনায় গরুর দুধের প্রতি সবচেয়ে বেশি মানুষের এলার্জি আছে।
৫৩) যারা ডায়েট করে তাদের মাত্র ৮% পরিকল্পিত ওজন কমানো প্রক্রিয়া মেনে চলে।
৫৪) নারিকেলের পানি রক্তের প্লাজমা হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

# মজার তথ্য

৫৫) ‘গরিলা’ শব্দটির উৎপত্তি একটি গ্রীক শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘লোমশ মহিলাদের গোত্র’।

কানাডার একটি যুদ্ধ ক্যাম্পএ আটক জার্মান বন্দীরা; Image Source: legionmagazine.com

৫৬) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কানাডার যুদ্ধ ক্যাম্পগুলোতে আটক বন্দীদের সাথে এতো ভালো ব্যবহার করা হয়েছিলো যে যুদ্ধশেষে মুক্তি পেয়েও অনেকে সেখান থেকে চলে যেতে চাইছিলো না।
৫৭) গরিলারা খুশি হলে ঢেঁকুর তোলে।
৫৮) নিউইয়র্কে ক্রেতাকে না জানিয়ে ভূতের বাড়ি বিক্রি করাটা অবৈধ।
৫৯) ২০০৬ সালে কেউ একজন নিউজিল্যান্ডকে ইবে’তে বিক্রি করার চেষ্টা করে। কর্তৃপক্ষ সেটা নামিয়ে ফেলার আগপর্যন্ত নিলামে নিউজিল্যান্ডের দাম ৩০০০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিলো।
৬০) শিশুকে কোনো সুমো কুস্তিগীর কাঁদাতে পারলে, জাপানে তা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
৬১) যুক্তরাজ্যের এক লোক টেলিমার্কেটারদের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজের নাম পরিবর্তন করে ‘টিম প্পপ্পপ্পপ্পপ্পপ্রাইস’ করেন, যাতে তারা সহজে তার নাম উচ্চারণ করতে না পারে।
৬২) জাপানে বাঁকা দাঁতকে আকর্ষনীয় ও সুন্দর হিসেবে দেখা হয়।

ডোনাল্ড ডাক; Image Source: clipartpanda.com

৬৩) কমিক চরিত্র ডোনাল্ড ডাক’কে ফিনল্যান্ডে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। কারণ সে কোনো প্যান্ট পরে না।
৬৪) লটারির টিকিট কিনতে যাওয়ার পথে মৃত্যুর সম্ভবনা, আপনার লটারি জেতার সম্ভবনার চেয়ে অনেক বেশি।
৬৫) চেরোফোবিয়া হচ্ছে আনন্দকে ভয় করার ভয়।
৬৬) ‘কোলগেট’ টুথপেস্টের নামের স্প্যানিশ অনুবাদ হচ্ছে- ‘যাও, ঝুলে পড়ো’।
৬৭) আগেকার দিনের জলদস্যুরা কানের দুল পরতো, কারণ তারা মনে করতো যে এটা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।

www.livin3.com সাইটে প্রকাশিত আর্টিকেলের ছায়া অবলম্বনে লেখা।  

আপনি উদ্যমী!
আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান?  

তাড়াতাড়ি সাবস্ক্রাইব করুন।

আমাদের সেরা কনটেন্ট আপনার ইমেইলে পৌছে যাবে প্রতি সপ্তাহে।  

Invalid email address
আপনি যেকোনো সময় আনসাবস্ক্রাইব করতে পারবেন।  

মন্তব্য করুন