ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ৫ সাম্রাজ্য

Share

পৃথিবীর এতো সাম্রাজ্যের মধ্যে কোন ৫টি ছিলো সবচেয়ে শক্তিশালী?  আর গত পাঁচ হাজার বছরে মাথা উঁচু করা প্রায় শ’খানেক সাম্রাজ্যের মধ্যে সেরা ৫টি সাম্রাজ্য বাছাই করাটা কি সত্যিই সম্ভব?  সত্যি করে বললে- ‘ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ৫ সাম্রাজ্য’ ধারণাটা আপেক্ষিক। কারণ সব সাম্রাজ্যই ছিলো তাদের নিজেদের মতো করে সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী।

কিন্তু ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু সাম্রাজ্যের এতো বেশি প্রভাব-প্রতিপত্তি-সমৃদ্ধি ছিলো যে তাদেরকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়। পাঠকদের অনেকেই হয়ত খেয়াল করবেন- আমি চীনা ও ভারতীয় সাম্রাজ্যকে বাদ দিয়ে গেছি। সেজন্য আমি প্রথমেই বলে নিই যে, এই অঞ্চলের সাম্রাজ্যগুলোর গুরুত্ব ও সমৃদ্ধি ছিলো অতুলনীয়। তবে সেগুলো গোটা পৃথিবীর তুলনায় অনেক বেশি আঞ্চলিক।

১) পারস্য  সাম্রাজ্য

পারস্য সাম্রাজ্য; Image Source: gohighbrow.com

খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৫৫০ বছর আগে সাইরেস দ্য গ্রেট আখেমেনীয় পারস্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। তাকে বলা হতো রাজাদের রাজা বা শাহেনশাহ। খ্রিস্টের জন্মের ৩৩০ বছর আগেই আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের হাতে এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটলেও পরবর্তী সভ্যতা ও ইতিহাসে এর ব্যাপক ভূমিকা ছিলো। প্রকৃতপক্ষে পারস্য সাম্রাজ্যই ছিলো পৃথিবীর প্রথম বড় সাম্রাজ্য যা কীনা পরবর্তী সময়ের জন্য বড় সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা ঠিক করে দিয়েছিলো।

ইতিহাসের এক অনন্য সময়ে পারস্য সাম্রাজ্য রাজত্ব করেছিলো, যখন কিনা পৃথিবীর অধিকাংশ সভ্য-স্থায়ী-জনবহুল অঞ্চলগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঘনীভূত হচ্ছিলো। যে কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ জুড়ে কায়েম হওয়া এই সাম্রাজ্য ইতিহাসের অন্যান্য সাম্রাজ্যগুলোর তুলনায় অনেক বেশি মানুষের উপর রাজত্ব করতে পেরেছিলো। খ্রিস্টের জন্মের ৪৮০ বছর আগে পার্সিয়ান সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ছিলো প্রায় ৪ কোটি ৯৪ লক্ষ, যা তখনকার পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ। এই সাম্রাজ্য ছিলো মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, ভারত, ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল প্রভৃতি একাধিক অঞ্চলকে একসাথে সংযুক্ত করা প্রথম সাম্রাজ্য। এটি প্রাচীন গ্রীস ও ভারতে সাম্রাজ্যের ধারণার সূচনা করে।

শুধুমাত্র সামরিক শক্তিই পারে এরকম একটি বড় সাম্রাজ্যকে একসাথে ধরে রাখতে। এছাড়া যদিও পারস্য সাম্রাজ্যের সামরিক বাহিনী বেশ চৌকশ ছিলো, তবু অধিকাংশ সময়ই আলেকজান্ডারের বাহিনীর কাছে পরাজয়ের কারণে তাদেরকে ইতিহাসে এড়িয়ে যাওয়া হয়। ব্যাবিলনীয়, লিডিয়ান, মিশরীয় এবং উত্তর-পশ্চিমের হিন্দু অঞ্চল গান্ধার যা কিনা এখনকার পাকিস্তানে অবস্থিত- বিশ্বের এমন সব উন্নত সংস্কৃতির জনপদগুলোতে বিভিন্ন সময় পার্সিয়ানরা সফল অভিযান চালায়। তারা বিশ্বাস করতো যে গ্রীসে তারা তাদের আধিপত্য কায়েম করতে পেরেছে এবং বেশিরভাগ গ্রীকরাই তাদের সাম্রাজ্যে বসবাস করে। এবং পার্সিয়ানরাই মধ্যপ্রাচ্যে ২০০ বছরের জন্য শান্তির সূচনা করে, যা পরবর্তীতেও আর কেউ করতে পারেনি।

তাছাড়া রাস্তার নেটওয়ার্ক, ডাকব্যবস্থা, সমগ্র প্রশাসনের জন্য একটি ভাষা, বিভিন্ন জাতির জন্য স্বায়ত্তশাসন, আমলাতন্ত্র প্রভৃতি বিষয়গুলো পারস্য সাম্রাজ্যই প্রথম পৃথিবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এবং পার্সিয়ান ধর্ম, জরথুস্ট্রপন্থা এসব পরবর্তীতে ইহুদীসহ অন্যান্য আব্রাহামিক ধর্মের মূল ব্যাপারগুলোকে প্রভাবিত করে।

২) রোমান সাম্রাজ্য

রোমান সাম্রাজ্য; Image Source: worldatlas.com

এই নামটা নিশ্চিতই ছিলো। রোমান সাম্রাজ্য দীর্ঘ দিন ধরেই পশ্চিমের শ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু এটার গুরুত্ব শুধুমাত্র পশ্চিমের পক্ষপাতের ফল নয়- বরং এটা আসলেই ইতিহাসের একটা অন্যতম সেরা সাম্রাজ্য। রোমানরা পরবর্তী একশ এমনকি এক হাজার বছর ধরে এক বিশাল অঞ্চল শাসন করার শক্তি দেখিয়েছিলো।

বর্তমান বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যই রোমানদের হাত ধরে এসেছে। রোমানরা হেলেনীয় সংস্কৃতি ধারণ করে ও এর সমৃদ্ধি ঘটায়। এছাড়া তাদের হাত ধরেই গ্রীক স্থাপত্যবিদ্যা, দর্শন ও বিজ্ঞান পরবর্তী প্রজন্মগুলোয় প্রবেশ করে। আর তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় খ্রিস্টধর্ম একটা ক্ষুদ্র ধর্মবিশ্বাস থেকে গোটা দুনিয়ার অন্যতম একটা ধর্মে পরিণত হয়।

পরবর্তীতে পশ্চিমের সকল ধরণের আইনগত পদ্ধতিতে রোমানদের আইনের ছাপ পাওয়া যায়। তাছাড়া আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাও সেসময়ের রোমানদের তৈরী প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা প্রভাবিত। প্রাচীন গ্রীসকে ‘গণতন্ত্রের জন্মস্থান’ বলা হলেও আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতা নেতারা মূলত ইংল্যান্ড ও রোমানদের চর্চা দ্বারা প্রভাবিত। এমনকি তাদের অনেকেই প্রাচীন গ্রীকদের পরীক্ষামূলক গণতন্ত্র নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে প্রশংসা করেছেন রোমানদের শাসন ব্যবস্থার- যেখানে রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র ও গণতন্ত্র ক্ষমতা ভাগাভাগি করে অবস্থান করে। আমেরিকার রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও এর সরকারের আলাদা আলাদা বিভিন্ন শাখা অনেকটাই রোমানদের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুরূপ। আর রোমান প্রজাতন্ত্র থেকে রোমান সাম্রাজ্যে রূপান্তর- সিজারের আদর্শ ও মর্যাদা ভবিষ্যৎ শাসকদের জন্য বিশাল অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

রোমানরা বেশ শক্ত ধরণের মানুষ ছিলো। তারা যেকোনো ধরণের প্রতিকূলতাকে জয় করে অভাবনীয়ভাবে শত্রুকে পরাজিত করার সামর্থ্য রাখতো তারা। যদিও খ্রিস্টের জন্মের ২১৬ বছর আগে ক্যানেইয়ের যুদ্ধে কার্থেজ নগরীর জেনারেল হানিবাল রোমানদের প্রায় কোণঠাসা করে এনেছিলেন, রোমানরা ঠিকই ১৪ বছর পর কার্থেজ নগরী আক্রমণ করে। একশ বছর জুড়ে রোমান সৈন্যবাহিনী ছিলো ভীষণ শক্তিশালী, যার ফলে তারা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও আরো অনেক সভ্য জনপদ নিজেদের দখলে আনতে পেরেছিলো। অথচ অল্পকিছু স্থানীয় উপজাতিয় বিদ্রোহ ছাড়া আর কোনো প্রতিকূলতার মুখে পড়েনি। শেষ পর্যন্ত এই সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ে মূলত নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও গৃহযুদ্ধের কারণে, জার্মান উপজাতিদের আক্রমণে নয়। এবং পূর্ব দিকের সাম্রাজ্য টিকেছিলো ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত, যা রোমানদের দিয়েছিলো প্রায় দুই হাজার বছর পৃথিবী শাসনের এক অনন্য কৃতিত্ব।

৩) আরব সাম্রাজ্য

আরব সাম্রাজ্য; Image Source: reddit.com

আরব সাম্রাজ্য বা খেলাফত মুসলমানদের নবী মুহম্মদ (স) দ্বারা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলো। আরবের অধিকাংশই ৬৩২ সালে তাঁর মৃত্যুর সময় এই সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। এটাকে মুসলিম সাম্রাজ্য না বলে আরব সাম্রাজ্য বলাটাই যুক্তিসঙ্গত। যেহেতু ইসলাম ছড়িয়ে পড়ায় পরবর্তী অনেকগুলো সাম্রাজ্যই মুসলিম শাসকদের শাসনে ছিলো, যদিও তারা আরব ছিলো না।

মুহম্মদ (স)-এর মৃত্যুর পর ৬৬১ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত চারজন খলিফা এই সাম্রাজ্য শাসন করেন। এরপর ৭৫০ সাল পর্যন্ত উমাইয়া গোত্রের খলিফারা এবং তারপর আব্বাসীয় খলিফাদের শাসন পর্যন্ত এই জয়রথ চলে। ৯০০ সাল পর্যন্ত এই সাম্রাজ্য টিকে ছিলো, যদিও ১২৫৮ সালে মঙ্গলরা বাগদাদ আক্রমণের আগপর্যন্ত আব্বাসীয়রা তাদের ধর্মীয় খেলাফত বজায় রাখে।

নিজেদের সময়ে সামরিক সাফল্য ও মর্যাদার জন্য আরব সাম্রাজ্য অসাধারণ ছিলো। পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক স্বল্প সংঘঠিত উপজাতিয় গোত্র যেভাবে বাইজান্টাইন ও সাসানিয় ফার্সি সাম্রাজ্যকে পরাজিত করেছিলো তা সত্যিই অভাবনীয়। আরবদের এই জয়রথ সামরিক ও সাংগঠনিক ঘাটতি পূরণে কিভাবে আদর্শগত আবেগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তার একটা উজ্জ্বল উদাহরণ। তাছাড়া এই সময়ের আরব সেনাপতিরা পৃথিবীর সবচেয়ে চৌকস সামরিক প্রতিভাবানদের মধ্যে জায়গা করে নেবে, বিশেষ করে ৩য় খলিফা ওমর (রা), যিনি ১০ বছরে মিশর থেকে পারস্য পর্যন্ত দখল করে নিয়েছিলেন। মাত্র একশ বছরেই আরব সাম্রাজ্য রোমানদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি আয়তন জুড়ে বিস্তৃত হয়।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ফার্সিদের মতোই আরব সাম্রাজ্য ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, ভারত ও চীনকে একসাথে যুক্ত করেছিলো। ফলস্বরূপ এই প্রথমবারের মতো পৃথিবীর এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে পণ্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিনিময় শুরু হয়। এর ফলে বীজগণিতের মতো নতুন নতুন সব ধারণা আরো সমৃদ্ধ হতে থাকে।

অবশ্যই ইসলাম ধর্ম আরব সাম্রাজ্যের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিলো, যা বর্তমানে লক্ষ কোটি মানুষ মেনে চলে।

৪) মঙ্গোল সাম্রাজ্য

মঙ্গোল সাম্রাজ্য; Image Source: history-world.org

পৃথিবীর উপর মাথা উঁচু করা আরেকটা সাম্রাজ্য ছিলো মঙ্গোল সাম্রাজ্য, যা কীনা সকল প্রকার প্রতিকূলতাকে জয় করে তার চেয়ে বড় ও শক্তিশালী শত্রুদের পরাজিত করেছিলো। এটা ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থল সাম্রাজ্য, যার ভয়ে আশেপাশের শত্রুরা সবসময় শঙ্কিত থাকতো। এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চৌকস মঙ্গোল সেনাপতি তেমুজিন। তেমুজিন ১২০৬ সালে চেঙ্গিস খান নাম ধারণ করেন। আগের অন্যান্য উপজাতিদের মতোই চীনের কিছু অংশ দখল করে মঙ্গোল সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিলো।

কিন্তু প্রতিবেশি ইরান, আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার খোয়ারেজি সাম্রাজ্যের নেতাদের দ্বারা তাদের দূত হত্যা মূলত মঙ্গোল সাম্রাজ্যের বাঁক বদল ঘটায়। এটা ছিলো চেঙ্গিস খানের জন্য খুবই অপমানজনক। এবং পরবর্তীতে মঙ্গোলদের প্রতিশোধের আগুন মধ্য এশিয়া ও এর স্বর্ণযুগের পতন ঘটায়।

ভাবতে অবাক লাগে- পরবর্তীতে চেঙ্গিস খানের বংশধররা মাত্র ২০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ, রাশিয়া ও চীন দখল করে নেয়। জাপানে ব্যর্থ আক্রমণ ও ১২৬০ সালে মিশরের মামলুকদের বিরুদ্ধে আইন জালুতের যুদ্ধ ছাড়া ইতিহাসে তাদের আর তেমন কোনো দুর্বলতা চোখে পড়ে না। কিন্তু মঙ্গোলরা এতো কিছু কিভাবে অর্জন করলো?  অল্প জনসংখ্যা সত্ত্বেও তারা খুব সহজেই বড় ও ছোট ছোট সৈন্যদল ব্যবহার করতে পারতো। কেননা তাদের সাথে তাদের পালিত পশুরা থাকতো ও এই কারণে তাদের খাদ্যের কোনো অভাব ছিলো না। অন্যদিকে তখন রেফ্রিজেরেটর না থাকায় চীনা শাসকদের ওরকম একটা বড় সৈন্যদল মাঠে নামাতে হিমশিম খেতে হতো।

মঙ্গোলরা তাদের অভিযানে লাখ লাখ মানুষ হত্যা করলেও পরে শান্তি ও সমৃদ্ধির এক নতুন যুগের সূচনা করে। যদিও প্রশাসনিক দুর্বলতা এই বড় সাম্রাজ্যকে চারভাগে বিভক্ত করে, যারা কীনা পরবর্তীতে আরো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে ভাগ হতে থাকে।

৫) ব্রিটিশ সাম্রাজ্য

ব্রিটিশ সাম্রাজ্য; Image Source: uncyclopedia.wikia.com

 ব্রিটিশরাই আধুনিক বিশ্বের সূচনা করে। ব্রিটিশদের প্রতিনিধিমূলক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোই মন্টিস্কির মতো ফ্রেঞ্চ এনলাইটমেন্ট যুগের দার্শনিকদের প্রেরণা যোগায়। ইউনাইটেড স্টেটসের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো- লিবারিজমের প্রতি আস্থা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার, বাণিজ্য- এসবই ব্রিটিশদের কাছ থেকে অর্জিত যা তারা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছে। এসব বৈশিষ্ট্যের সবই ইংল্যান্ডের দীর্ঘ ইতিহাসের ফলে অর্জিত ফল, কোনো বড় পরিকল্পনার অংশ নয়।

এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূচনা, সমৃদ্ধি ও শাসনে বড় ভূমিকা পালন করে। উপরন্তু ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বা সামুদ্রিক শক্তির কারণে তাদেরকে ব্যাপকভাবে অনুসরণ করা হয়। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী সময়ে ব্রিটিশরা গোটা দুনিয়ার চারভাগের একভাগ দখলে নিয়ে নেয়। এবং এটা বড় কোনো সামরিক শক্তির বদলে শুধুমাত্র তাদের সাংগঠনিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণেই সম্ভব হয়েছিলো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ব্রিটিশদের ভারত জয়ের প্রায় পুরোটাই সম্পন্ন হয়েছিলো ভারতীয় সৈন্যদের দ্বারা, যারা কীনা ব্রিটিশদের কাছ থেকে নিয়মিত বেতন ও সুবিধা পেতো। এছাড়া লন্ডনের একসাথে বেশ কয়েকটা যুদ্ধ পরিচালনা করার সামর্থ্য ছিলো। এবং কখনো কখনো সৈন্যদল হারলেও ব্রিটিশরা খুব কমই যুদ্ধে হেরে যেতো।

www.nationalinterest.org-এ পূর্ব প্রকাশিত  আর্টিকেলের ছায়া অবলম্বনে লেখা। 

আপনি উদ্যমী!
আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান?  

তাড়াতাড়ি সাবস্ক্রাইব করুন।

আমাদের সেরা কনটেন্ট আপনার ইমেইলে পৌছে যাবে প্রতি সপ্তাহে।  

Invalid email address
আপনি যেকোনো সময় আনসাবস্ক্রাইব করতে পারবেন।  

মন্তব্য করুন