অসাধারণ হওয়ার ১২৬ টি উপায়
কেউ অসাধারণ হঠাৎ করেই হয়ে যেতে পারে না। আর চমকপ্রদ কিছু করাও আলাদিনের চেরাগ পাবার মতো ঘটনা নয়। অসাধারণ জীবনযাপনের জন্য আপনার নিজেকে তৈরী করা প্রয়োজন।
স্বাভাবিকভাবে যা আসে তা সাধারনই হয়।
এবং আমরা বেশিরভাগই এভাবেই থাকি। সাধারন,গড়পরতা,মাঝারি, কর্মচঞ্চল তার পরেও অকার্যকরী। আগাচ্ছি কিন্তু আমাদের স্বপ্নের দিকে নয়।
সাধারন হয়ে থাকা ভালো পরিকল্পনা নয়। নিজের জন্য সহজ পথ বেছে নেয়ার মানে হলো আরো মাঝারি জীবনের দিকে নিজেকে ধাবিত করা এবং লক্ষ্যে পর্যন্ত না পৌছে কাছাকাছি পর্যন্ত যাওয়া।
গড়পরতা জীবন নিরাশার কারণ হয়।এটা একদম ভেঙ্গে পড়ার মতো কোন পরাজয় বা ব্যর্থতা নয়। কিন্তু একটা ধীর গতির আত্মাকে শেষ করে দেয়ার মতো বিষ। একটি নিশব্দ ঘাতক।
কোন একটি মুহুর্তে আপনি চরম উচ্ছাসের মধ্যে আছেন।পরের মুহুর্তেই আপনি এক কোনায় পড়ে আছেন, মাথা চুলকাচ্ছেন আর ভাবছেন কি যে হলো। আপনি সম্পূর্ণভাবে আপনার জীবন থেকে আনন্দ হারিয়ে ফেলেছেন। এবং আপনি নিজেও ঠিক নিশ্চিত না যে কিভাবে এই ভয়ানক জায়গায় এসে পৌছেছেন। এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনি আপনার জীবনে আনন্দ ফিরে পেতে চান। আপনি ফিরে পেতে চান সেই আত্মবিশ্বাস, জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ, নিজের সেরাটা দেয়ার সক্ষমতা।
নিজেকে সেই পর্যায়ে নিতে হলে,প্রথমে সঠিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
সেই পর্যায়টি একটি শব্দ দিয়ে বুঝানো সম্ভব। একটি শব্দ যা মাঝারি অবস্থাকে ছাড়িয়ে যায় এবং সেটির চেয়েও বেশি কিছু বোঝায়।
অসাধারণ।
সাধারন নয়। কিছুটা বেশি।
কিন্তু কিভাবে অসাধারণ হওয়া সম্ভব?
আপনিই পারেন নিজেকে অসাধারণ করে গড়ে তুলতে-হয়ত একজন সাধারন মানুষ একটি ছোটখাট চাকরিতে সাধারন কাজ করছেন একটি গড়পরতা দিনে। কোন বিশেষ সুবিধা নেই। কোন অসাধারণ দক্ষতা নেই যা অন্যরা করতে পারে না। ব্যাঙ্ক একাউন্টটে টাকার পরিমানটাও সামান্য। সবদিক দিয়েই সাধারন।
তারপর একদিন আপনি নিজেকে সামনের দিকে আগানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। তার জন্য কাজ করা শুরু করলেন। একবারে না বরং দিনের পর দিন।
তারপর একদিন, আপনাকে যারা চেনে তারা হঠাৎ করে লক্ষ্য করবে “সাধারন” শব্দটি আর আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ আপনার কাজ আপনার হয়ে কথা বলছে। এবং তারা তাদের মাথা নাড়িয়ে বলবে যে তারা যা দেখছে তা অসাধারণ। কারণ কাজগুলো আসলেই অনন্য এবং যার কারণে আপনিও অসাধারণ।
এবং এভাবেই অসাধারণ কিছু জন্ম নেয়।
সাধারন কোন কিছুতে সন্তুষ্ট না থেকে এবং অজুহাত না দিয়ে, সবসময় নিজেকে আরো দক্ষ বানানোর জন্য সজাগ আর উদ্যমী থাকা।
এটা হলো নিজেকে আরো কিছু দূর এগিয়ে নেয়া যখন তা অনেক বেশি দুরূহ। নিজের মনকে সামনের কঠিন বাধা সত্বেও নিয়ন্ত্রণ করা।
এটা খুব সাধারন একটা বিষয় যে: যদি আপনি নিজেকে অসাধারণ বানানোর পথ বের না করেন, তাহলে কখনোই আপনি সত্যিকারের খ্যাতি অর্জন করতে পারবেন না। সারাজীবন মাঝারিই থেকে যাবেন।
আপনি ঠিকই সময় বের করছেন মাঝারি এবং সাধারন থাকতে।
তাহলে অসাধারণ হবার পথ বের করছেন না কেন?
১| একজন আগুন্তকের সহজে ঢোকার জন্য দরজা খুলে রাখুন।
২| “ধন্যবাদ” বলুন।
৩| নিজের ভুল থেকে শিখুন।
৪| ঘ্যানঘ্যান করবেন না।
৫| অকুতোভয় হোন।
৬| দয়ালু হোন।
৭| নিজেকে অনুপ্রানিত করুন।
৮| কাউকে সঠিক পথ দেখান।
৯| ঋণমুক্ত হোন।
১০| একটি পক্ষ নির্বাচন করুন।
১১| মানসম্পন্ন জিনিস বেশি টাকা দিয়ে কিনুন।
১২| সাহায্যের হাত বাড়ান।
১৩| অতীতের ভুলগুলোকে ধরে বসে থাকবেন না
১৪| অজেয় হোন।
১৫| সময়ের সদ্ব্যাবহার করুন।
১৬| কাজে কূটনীতি করা বন্ধ করুন।
১৭| সফল হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করুন।
১৮| বিশেষজ্ঞ হোন।
১৯| সঠিক কাজ না করে নিজের জন্য সাফাই গাওয়া বন্ধ করুন।
২০| আপনার লক্ষ্যের দিকে আজই পদক্ষেপ নিন।
২১| মাঝারি গুনসম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকবেন না।
২২| জীবনকে হালকাভাবে নিন।
২৩| ক্লান্ত হয়ে বিছানায় যান।
২৪| নিজেকে জিগ্যেস করুন – কোন বিষয়টি আপনি আরো ভালোভাবে করতে পারেন।
২৫| একজন আগুন্তককে ফুল দিন।
২৬| আপনার পরে লিফটে কেউ ঢোকার হলে তার জন্য লিফটের দরজা খোলা রাখার ব্যবস্থা করুন।
২৭| একটি অসাধারণ আইডিয়াকে বাহবা দিন।
২৮| নিজেকে আরো ধৈর্য্যশীল বানান।
২৯| জীবনে যা নেই তা তৈরী করুন।
৩০| মানসিকভাবে সুস্থির থাকুন।
৩১| খারাপ অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরী করুন।
৩২| অন্য মানুষের সাথে হাতে হাত মেলানোর সময় চোখে চোখ রাখুন।
৩৩| অন্যদের মধ্যে ভালোদিকটাই বেশি দেখুন।
৩৪| নতুন কিছু করুন।
৩৫| আপনার সমালোচকদের কথা শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন।
৩৬| আর্থিকভাবে নিজেকে সাবলম্বী করুন।
৩৭| দান খয়রাতের কাজে নিয়োজিত হোন।
৩৮| নিজে যা শিখেছেন তা অন্যদেরকেও শিখান।
৩৯| কঠিন অবস্থার সমাধান হিসেবে নিজের মতামত দিন।
৪০| অন্যদের প্রতি যত্নবান হোন।
৪১| খুটিনাটি জিনিসের প্রতি মনোযোগ দিন।
৪২| বন্ধুত্বপূর্ণ হোন।
৪৩| কায়িক পরিশ্রম করুন।
৪৪| অন্যদের প্রশংসা করুন।
৪৫| সবার সাথে সুখ দুঃখ আরো বেশি ভাগাভাগি করে নিন।
৪৬| কাউকে ভালোবাসুন।
৪৭| স্বপ্ন দেখুন।
৪৮| সাধারণত যেই সময়ে ঘুম থেকে উঠেন তার চেয়ে ঘন্টাখানেক আগে উঠুন।
৪৯| নিজের মনের চিন্তাগুলো লিখে রাখুন।
৫০| নিজের ভুলগুলোর জন্য বেশি করে ক্ষমা চান।
৫১| মানসিকভাবে শক্ত থাকুন।
৫২| কঠিন অবস্থা মোকাবিলার জন্য নিজেকে তৈরী করুন।
৫৩| কষ্ট পেলে কাদুন।
৫৪| একটি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিদিন শুরু করুন।
৫৫| লক্ষ্যে পৌছানোর আগ পর্যন্ত কাজ করতে থাকুন।
৫৬| অন্যদের সম্পর্কে উৎসাহী থাকুন।
৫৭। অন্যদের সাথে কথা বলার সময় মনোযোগ দিন।
৫৯। অন্যদের সাথে বিভেদকে সম্মান করুন।
৫৯। কম স্বার্থপর হন।
৬০। অন্যের দুঃখ কমাতে সাহায্য করুন।
৬১| ইতিবাচক সম্ভাবনা নিয়ে কল্পনা করুন।
৬২| আপনার আশেপাশের মানুষদের দিকে তাকিয়ে হাসুন।
৬৩| অন্যের শোকে কাদুন।
৬৪| কাউকে মনে পড়লে ফোন করুন।
৬৫| মেন্টর হোন।
৬৬| ব্যর্থতাকে সহজভাবে নিন।
৬৭| নিজের দুর্বলতাকে সনাক্ত করুন।
৬৮| ইতিবাচক থাকার সিদ্ধান্ত নিন।
৬৯| আরো বেশি প্রশ্ন জিগ্গেস করুন।
৭০| নতুন একটা আত্মজীবনী পড়ুন।
৭১| দারুন কিছু করুন।
৭২| নিজের জন্য চিন্তা করুন।
৭৩| আরো চেষ্টা করুন।
৭৪| সাহায্য চান।
৭৫| সত্যি কথা বলুন।
৭৬| নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৭৭| সহজে রেগে যাবেন না।
৭৮| নতুন আইডিয়া নিয়ে পরীক্ষা করুন।
৭৯| নিজের প্রতিভা নিয়ে আরো কার্যকরী হোন।
৮০| কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিন।
৮১| নিজের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের দিকে প্রতিদিন কাজ করুন।
৮২| প্রতিদিন যে কাজগুলো শেষ করতে হবে তা লিস্ট করুন।
৮৩| সম্মানের সাথে বাচুন।
৮৪| নিজেকে প্রতিদিন অনুপ্রেরণা দিন।
৮৫| সবাই যা করছে তা করা থেকে বিরত থাকুন।
৮৬| নেতিবাচকভাবে আগ্রাসী হয়েন না।
৮৭| আপনার প্রশ্নের উত্তর খুজুন।
৮৮| আপনার সিদ্ধান্তের ফলাফলের দায়িত্ব নিন।
৮৯| আপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা নিয়ে কাজ করুন।
৯০| “না” শব্দটির বদলে “না ধন্যবাদ” বলুন।
৯১| অন্যের প্রতি মনোযোগ দিন।
৯২| কথা শোনার সময় আপনার চোখকেও কাজে লাগান।
৯৩| আপনার মনে যা আছে তা বলে ফেলুন।
৯৪| আপনার বন্ধুদের পক্ষে কথা বলুন।
৯৫| যতটুকু সামলাতে পারবেন তার চেয়ে বেশি চাপ নিবেন না।
৯৬| অন্যদেরকে উৎসাহ দিন।
৯৭| আপনার লক্ষ্যগুলোর উপর কাজ করুন।
৯৮| কোনকিছু অসম্পূর্ণভাবে করবেন না।
৯৯| সঠিক কারণে ভালো কাজ করুন।
১০০| আপনার মাথা সচল রাখে এমন কাজ করুন।
১০১| আপনার কাজের কঠিন বিশ্লেষণ করুন।
১০২| আপনি অন্যদের কাছ থেকে যা আশা করেন তা নিজে করুন।
১০৩| একটি ভালো উদাহরন শেয়ার করুন।
১০৪| কারো জন্য সান্ধ্যভোজ বা মিষ্টান্ন কিনে দিন।
১০৫| সকলের কাছ থেকে শিখার চেষ্টা করুন।
১০৬| ছোট ছোট অর্জনগুলো বড় করে উদযাপন করুন।
১০৭| জীবনে আপনার নিয়ন্ত্রনের বাইরের জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করবেন না।
১০৮| আপনার কাছের সবার জন্য বড় স্বপ্ন দেখুন।
১০৯| অন্যদের সাফল্য উপভোগ করুন।
১১০| নিরবে অন্যদেরকে অনুপ্রেরণা দিন।
১১১| রোগমুক্ত হোন।
১১২| ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি স্বাগত জানান।
১১৩| রাগান্নিত হয়ে বিছানায় যাবেন না।
১১৪| অন্যদের সাফল্য কামনা করুন।
১১৫| নিজের সময়ের মুল্য দিন।
১১৬| অন্যদেরকে দয়ালু হতে বলুন।
১১৭| কারো প্রতি প্রশংসাপূর্ণ একটি নোট লিখুন।
১১৮| বিনামূল্যে সাহায্য করুন।
১১৯| জীবনে সফলতার জন্য পরিকল্পনা করুন।
১২০| অন্যদের মধ্যে অপরিপক্কতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন।
১২১| সবসময় সঠিক হতে চাওয়া বন্ধ করুন।
১২২| অনুসূচি করে অন্যদেরকে সময় দিন।
১২৩| আপনার সেরা আইডিয়া সবার সাথে শেয়ার করুন।
১২৪| খুব সহজে রেগে যাবেন না।
১২৫| আপনার ভালো সময়গুলোর কথা মনে করুন।
১২৬| আপনজনদের যত্ন নেয়া জীবনে জেতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
লিখেছেন ড্যান ওল্ডসচমিডট।
www.success.com সাইটে পূর্বপ্রকাশিত।
মন্তব্য করুন